দাপ্তরিক নাম | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ |
রাষ্ট্র ধর্ম | বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম হলো ইসলাম ধর্ম। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের সমমর্যাদা ও সমঅধিকার আছে।[ |
জাতির পিতা | শেখ মুজিবুর রহমান |
জাতীয় বীর | মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী |
ঐতিহাসিক বীর | নবাব সিরাজউদ্দৌলা |
দলিলাদি | পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল |
জাতীয় কবি | কাজী নজরুল ইসলাম |
রাষ্ট্র ভাষা | বাংলা |
জাতীয় নরত্বারোপ | বাংলা মা/(বঙ্গমাতা) |
জাতীয় পঞ্জিকা | বঙ্গাব্দ |
স্তন্যপায়ী প্রাণী | শুশুক |
জাতীয় উদ্যান | ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান |
অন্যান্য জাতীয় উদ্যানসমূহ নাম জেলার নাম প্রতিষ্ঠাকাল ০১। আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান নওগাঁ ২৪-১২-২০১১ ০২। কাদিগড় জাতীয় উদ্যান ময়মনসিংহ ২৪-১০-২০১০ ০৩। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম ০৯-০৯-১৯৯৯ ০৪। কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান পটুয়াখালী ২৪-১০-২০১০ জাতীয় মসজিদ | বায়তুল মুকাররম |
জাতীয় মন্দির | ঢাকেশ্বরী মন্দির |
পর্বত | কিওক্রাডাং |
জাতীয় যাদুঘর | বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর |
জাতীয় গ্রন্থাগার | বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার |
জাতীয় স্লোগান- | জয় বাংলা |
জাতীয় বন সুন্দরবন
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস
জাতীয় শিক্ষক দিবস- ১৯ জানুয়ারী
শহীদ দিবস/আন্তর্জাতকি মাতৃভাষা দিবস-২১ ফেব্রুয়ারী
জাতীয় পতাকা দিবস-০২ মার্চ
জাতীয় শিশু দিবস-১৭ মার্চ জাতীয় দিবস/
স্বাধীনতা দিবস-২৬ মার্চ
মজিবনগর দিবস-১৭ এপ্রিল
জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস – জুলাই
জাতীয় শোক দিবস-১৫ আগষ্ট জাতীয়
সংহতি ও বিপ্লব দিবস-৭ নভেম্বর
সশস্ত্রবাহিনী দিসব-২১ ডিসেম্বর
মুক্তিযোদ্ধা দিবস-০১ ডিসেম্বর
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস-১৪ ডিসেম্বর
বিজয় দিবস-১৬ ডিসেম্বর
বাংলাদেশে আরো কতিপয় দিবস পালন করা হয় :
মাস ও সময়ের ক্রম অনুযায়ি নিন্মে সবগুলো দিবস সম্পর্কে আলচনা করা হয়েছে
জানুয়ারি
১ লা জানুয়ারি– বিশ্ব পরিবার দিবস
৬ জানুয়ারি– বিশ্ব যুদ্ধ অনাথ শিশু দিস (World Day –> War Orphans )
১০ জানুয়ারি– শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
১৯ জানুয়ারি– জাতীয় শিক্ষক দিবস
২০ জানুয়ারি– শহীদ আসাদ দিবস
২৪ জানুয়ারি– গণ অভ্যুত্থান দিবস
২৫ জানুয়ারি– কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস
২৬ জানুয়ারি– আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস
২৭ জানুয়ারি– আন্তর্জাতিক হলোকস্ট স্মরণ দিবস
২৮ জানুয়ারি– তথ্য সুরক্ষা দিবস (Data Protection Day),
সলঙ্গা দিবস জানুয়ারির শেষ রবিবার আন্তর্জাতিক কুষ্ঠ দিবস যক্ষা দিবস (Data Protection Day), সলঙ্গা দিবস জানুয়ারির শেষ রবিবার আন্তর্জাতিক কুষ্ঠ দিবস
ফেব্রুয়ারি
২রা ফেব্রুয়ারি– বিশ্ব জলাভূমি দিবস
৪ ফেব্রুয়ারি– বিশ্ব ক্যান্সার দিবস
৫ ফেব্রুয়ারি– কাশ্মীর দিবস
৬ ফেব্রুয়ারি– International Day against Female Genital Mutilation
১২ ফেব্রুয়ারি– ডারউইন দিবস এবং বিশ্ব রোগী দিবস (World Day of the Sick)
১৪ ফেব্রুয়ারি– ভ্যালেন্টাইন’স ডে, সুন্দরবন দিবস
১৫ ফেব্রুয়ারি– বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস
২০ ফেব্রুয়ারি– বিশ্ব সামাজিক বিচার দিবস (World Day of Social Justice)
২১ ফেব্রুয়ারি– আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
২২ ফেব্রুয়ারি– বিশ্ব স্কাউট দিবস
২৩ ফেব্রুয়ারি– বিশ্ব শান্তি ও সমঝোতা দিবস
২৪ ফেব্রুয়ারি– আল কুদস দিবস
২৮ ফেব্রুয়ারি– ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস
মার্চ
২ মার্চ– জাতীয় পতাকা দিবস
৩ মার্চ– বিশ্ব বই দিবস
৪ মার্চ– বিশ্ব যৌন নিপীড়ন বিরোধী দিবস
৮ মার্চ– আন্তর্জাতিক নারী দিবস
১১ মার্চ– রাষ্ট্রভাষা দিবস
১৩ মার্চ– আন্তর্জাতিক রোটারী দিবস
১৪ মার্চ– আন্তর্জাতিক নদী রক্ষা দিবস, বিশ্ব পাই (π) দিবস
১৫ মার্চ– বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস, পঙ্গু দিবস
১৭ মার্চ– বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস
২০ মার্চ– বিশ্ব শিশু ও যুব থিয়েটার দিবস
২১ মার্চ– বিশ্ব নিদ্রা দিবস (World Sleep Day), বিশ্ব বনায়ন দিবস, আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ দিবস
২২ মার্চ– বিশ্ব পানি দিবস
২৩ মার্চ– বিশ্ব আবহাওয়া দিবস, পতাকা উত্তোলন দিবস
২৪ মার্চ– বিশ্ব যক্ষা দিবস, আন্তর্জাতিক আর্কাইভ দিবস
২৫ মার্চ– দাসপ্রথার শিকার এবং ট্রান্সআটলান্টিক দাস বাণিজ্যের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস
২৬ মার্চ– বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস
২৭ মার্চ– বিশ্ব নাটক দিবস
৩১ মার্চ– জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দিবস মার্চের ২য় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনী দিবস, ২য় সোমবার কমনওয়েলথ দিবস
এপ্রিল
২ এপ্রিল– বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস, ঢাকার কেরানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস, জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস, বিশ্ব শিশু বই দিবস ৩ এপ্রিল– জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস
৪ এপ্রিল– আন্তর্জাতিক খনি নিরাপত্তা দিবস
৫ এপ্রিল– প্রতিবন্ধী দিবস
৭ এপ্রিল– বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, রোয়ান্ডার গণহত্যা স্মরণ দিবস
৮ এপ্রিল– ইস্টার সানডে
১০ এপ্রিল– স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন দিবস
১২ এপ্রিল– বিশ্ব মহাকাশ ও বিমান চলাচল দিবস
১৪ এপ্রিল– ১লা বৈশাখ, বাংলা বছরের প্রথম দিন
১৬ এপ্রিল– বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
১৭ এপ্রিল– বিশ্ব হিমোফিলিয়া (Haemophilia) দিবস, মুজিবনগর দিবস
১৮ এপ্রিল– বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
২০ এপ্রিল– চীনা ভাষা দিবস
২১ এপ্রিল– বিশ্ব সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিবস
২২ এপ্রিল– বিশ্ব ধরিত্রী দিবস, ইংরেজী ভাষা দিবস
২৩ এপ্রিল– বিশ্ব পুস্তক এবং কপিরাইট দিবস
২৪ এপ্রিল– ওয়ার্ল্ড ল্যাব এনিমেলস ডে
২৫ এপ্রিল– বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস
২৬ এপ্রিল– বিশ্ব মেধাসত্ত্ব দিবস
২৭ এপ্রিল– এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী, আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস, বিশ্ব নকশা দিবস
২৮ এপ্রিল– আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মরণ দিবস (International Worker’s Memorial Day), পেশাগত স্বাস্থ্য ও শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস
২৯ এপ্রিল– বিশ্ব নৃত্য দিবস, বিশ্ব ইচ্ছাপূরণ দিবস এছাড়া এপ্রিলের শেষ মঙ্গলবার শব্দ সচেতনতা দিবস
মে
১ মে– আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস
৩ মে– সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস, বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস, আন্তর্জাতিক সূর্য দিবস, বিশ্ব অ্যাজমা দিবস
৪ মে– কয়লা খনি শ্রমিক দিবস
৫ মে– বিশ্ব এথলেটিকস দিবস, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এই দিন জন্মগ্রহণ করেন
৮ মে– বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস, ২য় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণ দিবস, রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী (২৫ বৈশাখ) ১২ মে– আন্তর্জাতিক নার্স দিবস, বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস (World migratory bird day) (১২ ও ১৩ মে)
১৩ মে– আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত দিবস, বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস (World migratory bird day) (১২ ও ১৩ মে)
১৫ মে– পরিবার দিবস
১৬ মে– ফারাক্কা লং মার্চ দিবস বা ফারাক্কা দিবস
১৭ মে– ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে, বিশ্ব টেলি যোগাযোগ দিবস, বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস
১৮ মে– বিশ্ব জাদুঘর দিবস
১৯ মে– বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস
২০ মে– বিশ্ব পরিমাপবিদ্যা দিবস (World Metrology Day), চা শ্রমিক হত্যা দিবস
২১ মে– বিশ্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংলাপ দিবস
২২ মে– আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবস
২৩ মে– বিশ্ব কচ্ছপ দিবস
২৫ মে– নজরুল জন্মজয়ন্তী (১১ জ্যৈষ্ঠ)
২৮ মে– বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের মৃত্যুবার্ষিকী
২৯ মে– জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস
৩০ মে– প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী
৩১ মে– বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস এছাড়া মে মাসের প্রথম রবিবার বিশ্ব হাসি দিবস, মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস
জুন
৪ জুন– আগ্রাসনের শিকার শিশু দিবস (International Dayof Innocent Children Victims of Aggression) ৫ জুন– বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৭ জুন– ছয় দফা দিবস
৮ জুন– বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস, বিশ্ব মহাসাগর দিবস
১২ জুন– বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবস
১৩ জুন– নারী উত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস
১৪ জুন– বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
১৬ জুন– সংবাদপত্রের কালো দিবস
১৭ জুন– বিশ্ব খরা ও মরুকরণরোধী দিবস, ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের মৃত্যুবার্ষিকী
১৮ জুন– আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস
২০ জুন– বিশ্ব শরণার্থী দিবস, সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী
২১ জুন– বিশ্ব সংগীত দিবস, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস, কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্মবার্ষিকী
২৩ জুন– আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস, জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস দিবস, পলাশী দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
২৬ জুন– ওষুধের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস, নির্যাতনের শিকারদের সহায়তা দিবস
৩০ জুন– এছাড়া, জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্ব বাবা দিবস
জুলাই
১ জুলাই– আন্তর্জাতিক কৌতুক দিবস, চিকিৎসক দিবস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
২ জুলাই– বিশ্ব ক্রিড়া সাংবাদিক দিবস
১১ জুলাই– বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
২৮ জুলাই– বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস
২৯ জুলাই– বিশ্ব বাঘ দিবস এছাড়া জুলাইয়ের প্রথম শনিবার বিশ্ব সমবায় দিবস
আগস্ট
১ আগস্ট– বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ/স্তন্যদান(Breast–>feeding) সপ্তাহ/দিবস
৬ আগস্ট– পরমাণু বোমা বিরোধী দিবস, হিরোশিমা দিবস
৯ আগস্ট– নাগাসাকি দিবস, বিশ্ব আদিবাসী দিবস
১২ আগস্ট– আন্তর্জাতিক যুব দিবস
১৩ আগস্ট– আন্তর্জাতিক বাহাতি দিবস
১৫ আগস্ট– জাতীয় শোক দিবস
১৯ আগস্ট– বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস
২০ আগস্ট– বিশ্ব মশক দিবস
২৩ আগস্ট– দাস বাণিজ্য স্মরণ এবং রদ দিবস
২৭ আগস্ট– দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস এছাড়া আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস
সেপ্টেম্বর
৮ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস
১০ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব আত্নহত্যা বিরোধী দিবস
১১ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস
১৫ সেপ্টেম্বর– আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস, আন্তর্জাতিক প্রকৌশলী দিবস, জাতীয় আয়কর দিবস
১৬ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব ওজন দিবস
১৭ সেপ্টেম্বর– মহান শিক্ষা দিবস
১৮ সেপ্টেম্বর– কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস, বিশ্ব নৌ দিবস
২১ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব শান্তি দিবস, বিশ্ব আলঝাইমার দিবস
২২ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
২৩ সেপ্টেম্বর– প্রীতিলতার আত্নাহুতি দিবস
২৪ সেপ্টেম্বর– ওয়ার্ল্ড ক্লিন আপ ডে, মীনা দিবস
২৭ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব পর্যটন দিবস
২৮ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস
২৯ সেপ্টেম্বর– ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে
২৯ সেপ্টেম্বর– মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস
৩০ সেপ্টেম্বর– বিশ্ব কন্যাশিশু দিবস
অক্টোবর
১ অক্টোবর– বিশ্ব নিরামিষাশী দিবস, বিশ্ব বয়োজ্যেষ্ঠ দিবস, বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস
২ অক্টোবর– বিশ্ব প্রাণী দিবস, আন্তর্জাতিক সহিংসতা বিরোধী দিবস, পথশিশু দিবস
৪ অক্টোবর– ওয়ার্ল্ড এনিমেল ওয়েলফেয়ার ডে
৫ অক্টোবর– বিশ্ব শিক্ষক দিবস
৮ অক্টোবর– বিশ্ব মানবিক তৎপরতা দিবস
৯ অক্টোবর– বিশ্ব ডাক দিবস
১০ অক্টোবর– বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১২ আক্টোবর– বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস
১৩ অক্টোবর– আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় হ্রাসকরণ দিবস
১৪ অক্টোবর– বিশ্ব মান দিবস, বিশ্ব দৃষ্টি দিবস
১৫ অক্টোবর– বিশ্ব হাতধোয়া দিবস, বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস, আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস
১৬ অক্টোবর– বিশ্ব খাদ্য দিবস
১৭ অক্টোবর– বিশ্ব ট্রমা দিবস
২০ অক্টোবর– বিশ্ব অস্টেঅপরোসিস দিবস
২৪ অক্টোবর– জাতিসংঘ দিবস, বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস, বিশ্ব পোলিও দিবস
৩০ অক্টোবর– বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস
নভেম্বর
১ নভেম্বর– বিশ্ব নিরামিষাশী দিবস
৩ নভেম্বর– জেল হত্যা দিবস
৪ নভেম্বর– সংবিধান দিবস
৬ নভেম্বর– যুদ্ধ এবং সশস্ত্র সংঘাতে পরিবেশের ক্ষতি দূরীকরণ দিবস
৭ নভেম্বর– জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস
৮ নভেম্বর– বিশ্ব রেডিগ্রাফার দিবস
১০ নভেম্বর– নূর হোসেন দিবস
১২ নভেম্বর– বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
১৪ নভেম্বর– বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস
২০ নভেম্বর– আফ্রিকার শিল্পায়ন দিবস
২১ নভেম্বর– বিশ্ব টেলিভিশন দিবস, সশস্ত্র বাহিনী দিবস
২৫ নভেম্বর– নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ দিবস
২৯ নভেম্বর– ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি দিবস নভেম্বরের প্রথম শনিবার জাতীয় সমবায় দিবস
ডিসেম্বর
১ ডিসেম্বর– বিশ্ব এইডস দিবস, জাতীয় যুব দিবস, মুক্তিযোদ্ধা দিবস
২ ডিসেম্বর– বিশ্ব কম্পিউটার সাক্ষরতা দিবস, প্রতিবন্ধী দিবস
৬ ডিসেম্বর– সংবিধান সংরক্ষণ দিবস ৭ ডিসেম্বর–>আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস
৯ ডিসেম্বর– আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী দিবস, রোকেয়া দিবস
১০ ডিসেম্বর– আন্তর্জাতিক সম্প্রচার দিবস, মানবাধিকার দিবস
১১ ডিসেম্বর– আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৪ ডিসেম্বর– বিশ্ব জ্বালানি দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস
১৬ ডিসেম্বর– বিজয় দিবস
১৮ ডিসেম্বর– আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস
১৯ ডিসেম্বর– বাংলা ব্লগ দিবস
২৯ ডিসেম্বর–আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবস
জনমত
https://www.bbc.com/bengali/articles/czj9z8pgx1wo
৭ই মার্চ জাতীয় দিবস বাতিলের পক্ষে বিপক্ষে যত বিতর্ক
ছবির ক্যাপশান,১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেবার সময় শেখ মুজিবুর রহমান
১৭ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলছেন, আওয়ামী লীগ আমলে “বিভিন্ন দলীয় দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তো, সেগুলা এবং যে দিবসগুলোকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, সেই দিবসগুলোকে বাতিল করা হয়েছে।”
তবে আটটি দিবসের মাঝে ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস বাতিল করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪ঠা নভেম্বরের সংবিধান দিবস নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যদিও শেখ মুজিবুর রহমানসহ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ রাসেলের জন্মদিনের দিবস এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দিবসের বিষয়ে ততটা বিতর্ক দেখা যায়নি।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি ফেসবুক পেজে জাতীয় দিবস বাতিলে বিষয়ে করা পোস্টের কমেন্টের অনেকেই সেগুলোকে ‘পরিবারতন্ত্র দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
৭ই মার্চ যেভাবে দিবস
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ অনেক জনপ্রিয় হলেও ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত দিনটিকে কোনও দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ থেকে ৭ই মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট জারির নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সব জেলা ও উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল’ স্থাপনের নির্দেশও দেয়া হয়।
২০১৭ সালে এ নিয়ে আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছিল। সে বছরই ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
দিনটিতে সরকারি ছুটি না থাকলেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দেশজুড়ে ভাষণ প্রচার, স্কুল-কলেজে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, উপাসনালয়ে প্রার্থনা, শেখ মুজিবের বায়োপিকসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী, মন্ত্রণালয়ের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন বা ইউনিয়ন পরিষদের উদযাপন, এমন নানা ধরনের কর্মসূচি বড় পরিসরে পালন শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৭ই মার্চ ঘিরে কর্মসূচি আগেও থাকতো, কিন্তু দিবস ঘিরে নানা আড়ম্বরের শুরুটা ২০২১ থেকেই বলা যায়।
এ কারণে এ দিবসটি বাতিল হওয়ার পর সমালোচনার প্রেক্ষিতে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন যে ২০২১ সালের আগে ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস বলে পালিত হতো না, এখন সেটা বাতিল হলে কেন এতটা প্রতিক্রিয়া হবে।
ছবির ক্যাপশান,আওয়ামী লীগের কাজ হতো এমন একটি অফিসে ধ্বংসস্তূপে পড়ে রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি
পক্ষে–বিপক্ষে মতামত
এসব দিবস বাতিলের ঘোষণার পর পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন মত দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে আওয়ামী লীগের তরফ থেকেও। যদিও সামাজিক মাধ্যমে যারা দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তাদের সবাই যে বিগত সরকারের অনুগত তেমনটাও পুরোপুরি বলা যায় না।
যেমন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, “৭ই মার্চ এবং ১৫ই অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাচ্ছি I একেকজন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে আর ইতিহাসকে বিকৃত করবে আড়াল করবে অথবা নতুন করে লিখবে তা হতে পারে না।”
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা সত্ত্বেও তাজউদ্দীন আহমদকে অনেকটা পাশ কাটানো হয়েছিল শেখ মুজিবের সরকারের সময় এবং তাকে ঘিরে তেমন কোনও দিবসের আয়োজন হয়নি। যেসব দিবস বাতিল করা হয়েছে সেগুলো আওয়ামী লীগের ভেতরে পরিবারতন্ত্রের সাথেই সংশ্লিষ্ট ছিল বলেও মত রয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও অ্যাকটিভিস্ট আনু মুহাম্মদও এই দিবস বাতিলের বিপক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ৭ই মার্চকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন “শেখ মুজিব রাজনৈতিক চরিত্র, তার সমালোচনা পর্যালোচনা অবশ্যই হবে কিন্তু ইতিহাস মোছার চেষ্টা চলবে না।”
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “জাতীয় দিবস ঘোষণা করাটা আওয়ামী লীগের নিজস্ব রাজনীতির অংশ, কিন্তু জাতীয় দিবস ঘোষণার পরে বাতিল করাটা তাৎপর্যপূর্ণ। এটা বার্তা দেয় যে ৭ই মার্চের যে অবস্থান বা গুরুত্ব সেটা এই সরকার স্বীকার করছে না বা গ্রহণ করছে না।”
জনগণের উত্থান থেকেই এই ভাষণের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে যেটা একা শেখ মুজিবের মালিকানাধীন বিষয় না এবং এটা বাতিল করার তেমন প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন না তিনি।
ছবির ক্যাপশান,লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট আনু মুহাম্মদ (ফাইল ছবি)
যদিও শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকেন্দ্রিক দিবস নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। তার মতে, দিনগুলো দলীয় বা পারিবারিক, কিন্তু ৭ই মার্চে জনগণের অংশীদারিত্ব আছে।
আবার এমন মতও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে যে দ্রব্যমূল্য, যানজট, দখলদারিত্ব, আইনশৃঙ্খলা এমন দিকে অগ্রগতি তেমন দেখা না গেলেও এমন দিবস পালন বা বাতিলে কিছু আসে যায় কি না।
অবশ্য দিবস বাতিলের পক্ষে মতও কম নেই। লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান ভিডিও পোস্টে উল্লেখ করেন “মাফিয়া সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কী চরম নোংরামি করেছে এই দিবসগুলো তার একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।”
শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিবারকেন্দ্রিক দিবস থাকা, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মীয় শেখ ফজলুল হক মণিকে ঘিরে তেমন দিবস না থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে দিবস বাতিলের পক্ষে যারা বলছেন তাদের বেশিরভাগই উল্লেখ করছেন যে এই দিবসটি স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছরে ‘দিবস’ হিসেবে পালন হয়নি, এমনকি আওয়ামী লীগের আমলেও না।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ নিজ চোখে দেখা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিবিসি বাংলাকে বলেন, ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চেই জনগণ রাস্তায় নেমে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল এবং মার্চের দুই তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো দেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।
“এখানে শেখ মুজিবের ভূমিকা ছিল না” বলে মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে সেই পতাকা উত্তোলনের পেছনে ছিলেন তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আব্দুর রব, তৎকালীন জিএস আব্দুল কুদ্দুস মাখন, ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ।
“সাত তারিখে স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য তার উপর চাপ ছিল, এবং এটা নিয়ে শেখ হাসিনা নিজে, আমি শুনেছি বলতে যে সিরাজুল আলম খান চাপ দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করাতে চেয়েছিল কিন্তু তার আব্বা সেই ফাঁদে পা দেন নাই।
উনি তো স্বাধীনতার ঘোষণা করতে চান নাই। তিনি যেটা করেছিলেন পাকিস্তানিদের সাথে নেগোসিয়েশনের (মূলামূলি) জন্য চার দফা আপোষ ফর্মুলা দিয়েছিলেন,” বলছিলেন মি. আহমদ।
ছবির ক্যাপশান,লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ
তার মতে, “শেখ মুজিবুর রহমানের আসল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানিদেরকে চাপে রেখে চার দফা আদায় করে ক্ষমতা নেয়া যেটা মার্চের ২৪ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।”
একটি পরিবারকে ঘিরে বহু ধরনের দিবস পালনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “দিবস আওয়ামী লীগ পালন করতেই পারে, কিন্তু সরকারিভাবে জনগণের টাকা খরচ করে এখানে হইচই করা হয়েছে।”
দিবস ঘিরে বিগত সরকারের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি প্রতিনিয়ত মানুষকে বিরক্ত করেছে বলে মনে করেন তিনি।
অবশ্য তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এটি জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ না বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগই শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিচ্ছবিসহ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিচ্ছি না যেটা আওয়ামী লীগ করেছিল। ইতিহাসের অংশ হিসেবে নির্মোহভাবে থাকতে পারে, কিন্তু দিবসের প্রয়োজনীয়তা নেই।”
সামনেও গুরুত্বের বিবেচনায় দিবস বাতিল বা নতুন দিবস যুক্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।
https://www.prothomalo.com/bangladesh/ynmonk50nu
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস উদ্যাপন বা পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দিবসগুলো বাতিল হচ্ছে বলে জানানো হয়। তাতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যে দিবসগুলো উদ্যাপন বা পালন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
বিভিন্ন সময়ে এই দিবসগুলো জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তৎকালীন সরকার। এর মধ্যে ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত হয় ২০২০ সালে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদ্যাপন বা পালন–সংক্রান্ত পরিপত্রের ক শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তভুক্ত করে তখন প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই ভাষণকে ২০১৭ সালে ইউনেসকো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে তা বাতিল করেছিল। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে দিবসটি আবার পালনের সিদ্ধান্ত হয়। বাকি ছয়টি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করেছিল। অবশ্য বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত আদেশ সাপেক্ষে দিবসটি পালন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না এই সরকার
আওয়ামী লীগের দলীয় দিবসগুলো জাতীয় দিবস হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যে দিবসগুলোকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। একটি ফ্যাসিস্ট আদর্শ এবং সেই আদর্শকে ধারণ ও চর্চার জন্য দিবসগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সভায় সভাপতিত্ব করেনছবি: পিআইডি
পরবর্তী সময়ে যদি মনে হয় এ রকম আরও দিবস বাতিল করা প্রয়োজন বা কিছু অগুরুত্বপূর্ণ দিবস রয়েছে, তাহলে সেগুলোও বাতিল হতে পারে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নতুন দিবসও যুক্ত হতে পারে। যে রকম জুলাই অভ্যুত্থানের ভেতরে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ, স্বাভাবিকভাবে এখানেও কিছু দিবস যুক্ত হবে।
বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে কি না এই সরকার—এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই না।’ তিনি বলেন, ‘এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে কেবল একজন না, বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু শুধু বাহান্ন থেকে শুরু হয়ে যায়নি, আমাদের ইতিহাসের দীর্ঘ লড়াই আছে। ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, সাতচল্লিশের লড়াই আছে এই ভূখণ্ডের মানুষের, একাত্তরের লড়াই আছে, নব্বই আছে, চব্বিশ আছে।’
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম, যোগেন মন্ডল, মাওলানা ভাসানীসহ অনেক মানুষের লড়াই আছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো মনে করি এখানে একজন জাতির পিতা না, বরং অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছে, যাঁদের অবদানের ফলে এই ভূখণ্ড, এই রাষ্ট্র, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ফলে আমরা এটিকে একটি দলে, একজন ব্যক্তিতে সীমাবদ্ধ করতে চাই না।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসের যে বহুমুখিতা রয়েছে, নানা মাত্রা রয়েছে, যেটাকে আওয়ামী লীগ এত দিন অস্বীকার করেছে। মাওলানা ভাসানীর অবদান তারা সব সময় অস্বীকার করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁকে ইতিহাসে রাখেনি। এখন সেই ইতিহাসগুলো নিয়ে আসতে হবে।’
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৭ মার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস, গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা সেদিন হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করছি না যে সেটি জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব বহন করে। অনেক কিছু হয়তো আমাদের ইতিহাসের অংশ। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসলে ইতিহাসকে নষ্ট করে ফেলেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো ৭ মার্চকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিচ্ছি না। শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিচ্ছি না। যেটা ইতিহাসের অংশ, নির্মোহভাবে ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি…থাকবে। কিন্তু সেটি দিবস হিসেবে যে চর্চা, এটির একটি রাজনীতি আছে। গণ-অভ্যুত্থানের সরকার সেই রাজনীতি চলতে দিতে পারে না।’
আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, গুম-খুন করে, গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল।…কারা তাঁকে জাতির পিতা বলল, কারা জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, এই নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা তো বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আসলে আনতে হবে।’
আওয়ামী লীগের নিন্দা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট শোক দিবসসহ বিভিন্ন দিবস বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ এক বিবৃতিতে সরকারের এ উদ্যোগকে ‘প্রতিহিংসামূলক’ বলে উল্লেখ করা হয়।
আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন ইতিহাসের সন্তান জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার বিশ্বস্ত সহকর্মীরা, দেশের মুক্তিকামী জনতা ও তাঁর পরিবারের অবদান অমোচনীয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হচ্ছে মুক্তির লড়াইয়ের সব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রতীকী স্থাপনা। এসবের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত জাতীয় দিবসসমূহ রাষ্ট্রাচার থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা এহেন প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’