এক নজরে বাংলাদেশের জাতীয়
দাপ্তরিক নামগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
রাষ্ট্র ধর্মবাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম হলো ইসলাম ধর্ম। তবে হিন্দুবৌদ্ধখ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের সমমর্যাদা ও সমঅধিকার আছে।[
জাতির পিতাশেখ মুজিবুর রহমান
জাতীয় বীরমহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
ঐতিহাসিক বীরনবাব সিরাজউদ্দৌলা
দলিলাদিপাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল
জাতীয় কবিকাজী নজরুল ইসলাম
রাষ্ট্র ভাষাবাংলা
জাতীয় নরত্বারোপবাংলা মা/(বঙ্গমাতা)
জাতীয় পঞ্জিকাবঙ্গাব্দ
জাতীয় প্রতীক

জাতীয় প্রতীক  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতীক। এ প্রতীক হলো পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা এবং এর উভয় পার্শ্বে একটি করে ধানের শীষ, চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে তারকা। পানি, ধান ও পাট প্রতীকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হয়েছে বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি। এ তিনটি উপাদানের উপর স্থাপিত জলজ প্রস্ফুটিত শাপলা হলো অঙ্গীকার, সৌন্দর্য ও সুরুচির প্রতীক। তারকাগুলোতে ব্যক্ত হয়েছে জাতির লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা।  [সিরাজুল ইসলাম][বাংলাপিডিয়া]

প্রতিবেদন

https://www.kalerkantho.com/print-edition/tuntuntintin/2021/12/13/1100786

কালের কণ্ঠ, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

[ যে ভা বে এ লো ]

জাতীয় সংবিধান

সংবিধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং একই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বলবৎ হয়। সংবিধানে এগারোটি ভাগ ও চারটি সিডিউলে বিন্যস্ত মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। ভাগগুলো হচ্ছে: প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার, নির্বাহী, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা, আইনসভা, আইন প্রণয়ন ও আর্থিক পদ্ধতি, অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশের কর্মবিভাগ, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, জরুরি বিধানাবলি, সংবিধান সংশোধন এবং বিবিধ।

সংবিধানে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, আইনের শাসন, চলাফেরা সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সংহতির নীতির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ একটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে সংবিধানে ১৭টি সংশোধন ও পরিবর্তন করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু হয়েছে সাংবিধানিক সংশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, কিছু হয়েছে সামরিক আইনের আওতায় ঘোষণা ও আদেশের দ্বারা। বেশ কয়েকবার সরকার পদ্ধতিরও পরিবর্তন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাংবিধানিক যাত্রার সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আওতায় জারিকৃত একটি অস্থায়ী সংবিধানের মাধ্যমে। এতে রাষ্ট্রপতিকে (মুজিবনগর সরকারের) সকল নির্বাহী ও আইন প্রণয়নের কর্তৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষমতা দেয়া হয়। এই ঘোষণাপত্রের স্থলাভিষিক্ত হয় ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ অস্থায়ী সংবিধান আদেশ। উক্ত আদেশে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর ও ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে প্রজাতন্ত্রের গণপরিষদ গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদ সম্বলিত সংসদীয় পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়।

বাাংলাদেদের জাতীয় পতাকা

এ কথা আমাদের কারোরই অজানা নয় যে লাল সবুজে ঘেরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বাঙ্গালির জীবন ও ইতিহাসে কতখানি গুরুত্ব বহন করে। তবে বর্তমান যে পতাকাটি আমরা সর্বত্র দেখি তা আগে এরকম ছিলো না। বর্তমান পতাকাটির রূপকার কামরুল হাসান হলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ও তার কিছু আগে যে পতাকাটি ব্যবহার করা হয়েছিলো তার নকশাকার ভিন্ন।

বাংলাদেশ- অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এক নাম। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার নকশা করা হয়ে গিয়েছিলো স্বাধীনতার কিছু আগেই। বাংলাদেশের প্রথম পতাকাটির নকশা কিন্তু ‘স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস’ সংগঠনের কিছু কর্মী এবং ছাত্রনেতার হাত ধরে। ১৯৭০ সালের ৬ ই জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১০৮ নং কক্ষে পতাকার প্রাথমিক নকশাটি করা হয় যার নকশাকাররা হচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আব্দুর রব, কাজী আরেফ আহমেদ, শাহজাহান সিরাজ, মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মনি), স্বপন কুমার চৌধুরী; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাস, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু, ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাহউদ্দিন আহমেদ, কামরুল আলম খান (খসরু) সহ আরো অনেকে। এরপরে, ইউসুফ সালাউদ্দিন আহমেদ এবং  হাসানুল হক ইনু পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বর্তমান বুয়েট) কায়েদে আজম হলের (বর্তমান তিতুমীর হল) ৩১২ নং কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে মানচিত্রের বই নেন এবং তাঁরা ট্রেসিং পেপারে পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র আঁকেন। ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাস অতঃপর হলুদ রং এবং ম্যাচের কাঠি ব্যবহার করে মানচিত্রটি পতাকার লাল বৃত্তের মাঝে আঁকেন। এভাবেই প্রস্তুত হয় বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা যা কিনা ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় প্রথম উত্তোলিত হয়। এ বিষয়ে ইউসুফ সালাউদ্দিন আহমদ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ডিসেম্বরের ৯ তারিখ ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রতিবেদনে বলেন :

To top